রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩

ময়মনসিংহের পরিবর্তে জামালপুর থেকে ছাড়বে বিজয় এক্সপ্রেস



 আগামী ১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন হয়ে জামালপুর স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন। ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পূর্ব) কামাল আক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। সেখানে বিজয় এক্সপ্রেসের স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহের পরিবর্তে জামালপুর করা হয়। যদিও নিয়ে ময়মনসিংহবাসী আন্দোলন করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, অর্থনৈতিকভাবে ময়মনসিংহ একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেশে ময়মনসিংহের অবদান অন্যতম। সে গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৪ সালে দেশের বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়। এতে জেলার গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। প্রায় ১০ বছর আগে চালু হওয়া আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম স্টেশনে চলাচল করছিল। জামালপুরসহ ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যান্য জেলার যাত্রীরা ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করত। হঠাৎ ময়মনসিংহের স্টার্টিং পয়েন্ট পরির্বতন জামালপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় নভেম্বরে। বিষয়টি জানার পর ময়মনসিংহবাসী আন্দোলন শুরু করে। তার পরও সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে রেলওয়ে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের নারী উদ্যোক্তা আইনুন নাহার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিজয় এক্সপ্রেস ময়মনসিংহবাসীর আন্দোলনের একটি ফসল। এর স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন করায় আমরা মর্মাহত। আমরা আন্দোলন করছি স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহ স্টেশনে বহাল রাখার জন্য।’

ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম জানান, বিজয় এক্সপ্রেসের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন করা ময়মনসিংহবাসীর জন্য কষ্টের কারণ। ১০ বছর পর কেন স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তন করা হলো। ময়মনসিংহ থেকে অনেক যাত্রী চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। ময়মনসিংহ যেমন প্রাচীন নগরী তেমনি চট্টগ্রামও প্রাচীন নগরী। উপমহাদেশের এ দুই প্রাচীন নগরীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম পরিবর্তন কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে ময়মনসিংহের যাত্রীরা আসন পাবেন না।’

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন হবে। এটি ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে উদ্বোধন করা হয়। নতুন করে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এসি কেবিন ও নন এসি কেবিনসংবলিত ট্রেনের সর্বনিম্ন শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩০ টাকা। সর্বোচ্চ এসি কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা। এটি রাত ৮টা ১০ মিনিটে জামালপুর রেলওয়ে জংশন থেকে ছেড়ে গিয়ে ময়মনসিংহের পিয়ারপুর, ময়মনসিংহ, গৌরীপুর, আঠারবাড়ী, কিশোরগঞ্জ, সরারচর, ভৈরব, আখাউড়া, কুমিল্লা, লাকসাম, ফেনী, ভাটিয়ারী যাত্রাবিরতি শেষে ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে জংশনে পৌঁছবে। মঙ্গলবার ছাড়া বাকি ছয়দিন নিয়মিত এ রুটে যাতায়াত করবে ট্রেনটি।

জামালপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত শনিবার অনলাইনে টিকিট ওপেন হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।’


শেয়ার করুন

0 coment rios: