শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩

বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয়ে বিএনপির কার্যালয়ে বক্তব্য দেয়া কে এই মিয়ান আরাফি?

 

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয়ে ইংরেজিতে বক্তব্য দেন মিয়ান আরাফি নামে এক ব্যক্তি। তবে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বলছে, ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কেউ নন।
বিএনপির কার্যালয়ে ইশরাক হোসেনের পাশে মিয়ান আরাফি (লাল বৃত্তাকার চিহ্নের ভেতরে)। ছবি: সংগৃহীত

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই ব্যক্তির সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে হৈ চৈ সৃষ্টি হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাভারের রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পাওয়া সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।


বিএনপির সমাবেশ ও সংঘাত ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধিদল ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ খবর নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
 
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য পুরোপুরি অসত্য।’

তবে এর আগেই সংবাদমাধ্যমে বাইডেনের ‘উপদেষ্টার’ নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় পরিদর্শন এবং সেখানে ব্রিফিংয়ের খবর ও ভিডিও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে।

ভিডিওতে নিজেকে মিয়ান আরাফি নামে পরিচয় দেয়া সেই ব্যক্তি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ কোন কোন ব্যক্তিকে বার্তা পাঠিয়েছেন সে তথ্য তুলে ধরেন।
 
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হলেও বিএনপির টনক নড়ে প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর। 

বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়, যে ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন তার সম্পর্কে বিএনপির কাছে কোনো তথ্য নেই। ওই ব্যক্তির বিষয়ে মার্কিন দূতাবাস থেকে বিএনপিকে অবগত করা হয়নি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
 
 
ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বিএনপি ওয়াকিবহাল না হলেও দলীয় কার্যালয়ে কীভাবে এসে বক্তব্য দিলেন তিনি, সেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র এই ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, ‘ওই ভদ্রলোক যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে কথা বলেন না। তিনি একজন বেসরকারি ব্যক্তি।’


শেয়ার করুন

0 coment rios: