সর্বশেষ

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

নেত্রকোণায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ২

নেত্রকোণায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ২

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় বালুবাহী ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আতকাপাড়া নামক স্থানে বামনখালী ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ থেকে ৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি নেত্রকোণার দূর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সিএনজিটি পূর্বধলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের আতকাপাড়া নামক স্থানে এলে দূর্গাপুর থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক বেপরোয়াভাবে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও পরে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক পলাতক ও বালুবাহী ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পূর্বধলা উপজেলায় বালুবাহী ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আতকাপাড়া নামক স্থানে বামনখালী ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ থেকে ৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি নেত্রকোণার দূর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সিএনজিটি পূর্বধলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের আতকাপাড়া নামক স্থানে এলে দূর্গাপুর থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক বেপরোয়াভাবে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও পরে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ট্রাকচালক পলাতক ও বালুবাহী ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

কুড়িগ্রামে মাদকসহ ৫ কারবারি গ্রেপ্তার

কুড়িগ্রামে মাদকসহ ৫ কারবারি গ্রেপ্তার


কুড়িগ্রামে গাঁজা, ফেনসিডিল, বিদেশি মদ ও ইয়াবাসহ পাঁচ মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার বিকালে ও রাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও রৌমারী থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় এলাকার মো. তুষার হক (২১), বোয়াইলভীর গ্রামের রনজিত রায় (২৮), নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর পাড়ার মো. মাসুদ রানা (৩৭), ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিংঝাড় জয়মনি গ্রামের আমির হোসেন (৪০) ও রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মির্জাপাড়া গ্রামের মো. ওবাইদুল ইসলাম (৩০)।

অভিযানে ৩৩ কেজি গাঁজা, ১০৫ বোতল ফেনসিডিল, ১২ বোতল বিদেশি মদ ও ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিলেট বিভাগে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন যারা

সিলেট বিভাগে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেন যারা


 আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। এতে সিলেটের বিভাগের ১৯ আসনের মধ্যে ১৫ টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। এসব আসনে মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষাণা করেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

সোমবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্ট চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মুজিবুল হক চুন্নু।

সিলেট জেলার ৬টি আসনের মধ্যে সিলেট-১ আসনে নজরুল ইসলাম বাবুল, সিলেট-২ আসনে মকসুদ ইবনে আজিজ লামা, সিলেট-৩ আসনে আতিকুর রহমান আতিক, সিলেট-৪ আসনে এটি এম তাজ রহমান, সিলেট-৫ আসনে সাব্বির আহমদ ও সিলেট-৬ আসনে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন মনোনয়ন পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে মো. আব্দুল মান্নান তালুকদার, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে নাজমুল হুদা হিমেল মনোনয়ন পেয়েছেন।

মৌলভীবাজারে জাপার মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন- মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে আহম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ আংশিক) আব্দুল মালিক, মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার-রজনগর) রুহুল আমিন।

হবিগঞ্জে জাপার মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন- হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা) এম.এ. মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলা) আব্দুল মুমিন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট,মাধবপুর উপজেলা) আহাদ উদ্দিন চৌধুরী শাহীন।

সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


সুনামগঞ্জে বন্ধুর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল হামিদ মিল্টনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়ত উদ্দিন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে।

২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে ঘটা হত্যাকাণ্ডটি দ্রুত বিচার আইনে আজ এ রায় ঘোষণা করলেন আদালত।

জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের মদরিছ আলমের মেয়ে রিপা বেগম স্থানীয় এক সংগীত শিল্পী। তার প্রথম স্বামী ফখর উদ্দিনের সাথে পারিবারিক কলহের কারণে এক কন্যা সন্তানসহ স্বামীর সংসার ছাড়েন। পরে আব্দুল হামিদ মিল্টনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। পারিবারিক কলহের জেরে রিপা বেগম সংসারের বিচ্ছেদ চেয়ে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। ২০২২ সালে তিন ফেব্রুয়ারি আদালতের মাধ্যমে আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টনকে তালাক প্রদান করেন স্ত্রী রিপা বেগম।

বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্বামী মিল্টনের বন্ধু গুলজার নামের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। শহরের বড়পাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকেন গুলজার ও রিপা। বিষয়টি জানতে পেরে রিপার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে সবার অগোচরে বাসায় প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় মিল্টন। এ ঘটনায় রিপার বাবা মদরিছ আলম আব্দুল হামিদ মিল্টনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা মামলা দায়ের করেন।

পরে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শুনানী শেষে আদালত মঙ্গলবার আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টনকে দি পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২ ধারার অধীনে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হামিদ মিল্টনের রায়ের তারিখ হতে সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করতে পারবে।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর খায়রুল কবির রুমেন।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: বরিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাদিক আবদুল্লাহ

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: বরিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাদিক আবদুল্লাহ

 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন।

মঙ্গলবার তার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার রাতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, ‘সাদিক আবদুল্লাহকে সদর আসনে প্রার্থী করার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত, তিনি প্রার্থী হবেন। এ জন্য আজ তার পক্ষে আমরা মনোনয়নপত্র কিনব।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু দলীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি শিথিল করে দেওয়া হয়েছে, সে কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

রবিবার বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সারাদেশে ২৯৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এতে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এ খবরে জাহিদ ফারুকের কর্মী-সমর্থকেরা নগরে আতশবাজি, মিষ্টি বিতরণসহ নানাভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অন্যদিকে সাদিক আবদুল্লাহকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করতে তার কর্মী-সমর্থকরা তৎপর হয়ে উঠেন। এতে বরিশালের স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তাপে নতুন মাত্রা পায়।

সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাতে নগরের কালীবাড়ি রোডে সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সমর্থক নেতাকর্মীরা সাদিক আবদুল্লাহকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাদিক আবদুল্লাহর বদলে তার চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এবার সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র।


খুলনা-৩ আসনে এস এম কামালের আগমনে উচ্ছ্বসিত সর্বস্তরের মানুষ

খুলনা-৩ আসনে এস এম কামালের আগমনে উচ্ছ্বসিত সর্বস্তরের মানুষ


আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৩ আসনের নৌকার মাঝি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল। এতে করে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। খুলনায় বইছে নৌকার গণজোয়ার।

রবিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে খুলনা-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী হিসেবে এস এম কামালের নাম ঘোষণা করেন দলের সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নাম ঘোষণার পর থেকে খুলনায় দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষেরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

এর আগে এই আসনটিতে টানা তিনবার দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত হন বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। দীর্ঘ ১৫ বছর দুইবার শ্রমও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে এস এম কামাল মনোনয়ন পাওয়ার পর খুলনায় সাধারণ মানুষের সাথে মিশে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনছেন।

মঙ্গলবার তিনি তার নির্বাচিত আসনের বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে নিয়ে। একই সাথে তিনি খুলনা ৩- আসনকে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত ভূমিদস্যুদের উৎখাত করার জন্য সকলকে সহযোগীতা হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার খালিশপুর বিআইডসি রোড পিপলস এলাকায় জোহর নামাজ বাদ তিনি উপস্থিত সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের বলেন, আমি এই এলাকার মানুষ। আমার কৈশোর, ছাত্রজীবন এই খুলনা নিয়ে। আমি এই শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকার মানুষ। আমি এই অঞ্চলের মানুষকে খুব ভালবাসি। আমার সবাই পরিচিত বা কেউ কেউ আত্মীয়। আমি এখন মানুষের ভালবাসা চাই। আমি শ্রমিক বান্ধব জনপ্রতিনিধি হতে চাই।

এস এম কামাল হোসেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর জোনাসুরে ১৯৬০ সালের ৩১ জানুয়ারি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্রলীগ করার মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। এস এম কামাল হোসেন শিক্ষার্থী অবস্থায় ওরাকান্দি মিড হাই স্কুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় ছাত্রলীগের পর্যায় ক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অন্যতম নেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের উপ কমিটির সহ-সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রেীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

সিরাজগঞ্জে প্রার্থীকে বরণ করতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সিরাজগঞ্জে প্রার্থীকে বরণ করতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত


 সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফিকে বরণ করতে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় সাগর হোসেন নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামলী পাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাগর হোসেন পাবনা জেলার দিলপাশার ইউনিয়নের কাজীট্রল গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার এসআই মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী সাগর দুপুরে তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফিকে বরণ করতে পাঁচলিয়া বাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন। একই সময়ে পাবনা থেকে সি-লাইনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি ঢাকা-পাবনা মহাসড়ের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে সাগর হোসেনের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী সাগর নিহত হয়

২৩ বছর পর উখিয়ায় ডাবল মার্ডার মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

২৩ বছর পর উখিয়ায় ডাবল মার্ডার মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন


 কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানীতে বহুল আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে (এসটি-২০১/২০০৮) মামলার শুনানি শেষে বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ পৃথক ধারায় এ রায় প্রদান করেন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামি পক্ষে প্রধান আইনজীবী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।

দীর্ঘ ২৩ বছর পর এ রায় ঘোষণা হলেও রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করেছে ভিকটিমের স্বজনরা।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- ইনানী এলাকার মুফিদুল আলম সিকদার, জালিয়াপালং ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু কায়সার শিপলু, সাজ্জাদ হোসেন সিকদার, শামশুল আলম, নুরুল কবির ও শাকের আলী।

রায় ঘোষণাকালে দণ্ডিত শাকের আলী ব্যতীত অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একই মামলায় অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় অবশিষ্ট আট আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

আদালত সূত্র মতে, আসামিদের ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২/১৪৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামিদের প্রত্যেককে আরও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১০ হাজার করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ২৪ জুলাই জায়গা জমির বিরোধের সূত্র ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন ছলিম উল্লাহ প্রকাশ পুতন আলী মিস্ত্রি ও শামসুল আলম প্রকাশ গুরা মিয়া। পরের দিন নিহতদের ভাই নাজির হোসেন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আব্দুস ছালাম দফাদার তিন মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।